মুক্তিপণ না দিলে মিলবে ৮ জনের লাশ পৌঁছাবে বলে হুমকি দিয়েছে অপহরণকারীরা।

অপহরণের শিকার হয়েছেন। মুক্তিপণ না দিলে বাড়িতে তাদের লাশ

রোববার সকালে ওই ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃতরা হলেন- জাহাজপুড়া এলাকার ছৈয়দ আমিরের দুই ছেলে মোস্তফা ও করিম উল্লাহ, রোস্তম আলীর ছেলে ছলিম উল্লাহ, রশিদ আহাম্মদের ছেলে মো. উল্লাহ, নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ, রশিদ আহাম্মদের ছেলে কলেজছাত্র আবছার উদ্দীন, মমতাজের ছেলে রিদুওয়ান, কাদির হোছনের ছেলে নুরুল হক।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন যুগান্তরকে জানান, রোববার সকালে বাহারছড়া এলাকার বনিরছড়া নামক একটি খালে মাছ শিকারে যায় তারা। কিন্তু সন্ধ্যা হলেও তারা বাড়িতে ফিরে না আসায় তাদের পরিবারের স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন।

হঠাৎ অপহরণের শিকার একজনের মোবাইল ফোন থেকে তাদের স্বজনদের কল করে জানানো হয়- তাদের পাহাড়ে ধরে রেখেছে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করতে টাকা জোগাড় করতে বলা হয়।

তিনি আরও জানান, আবার আরেকজনের পিতার কাছে ওই মোবাইল দিয়ে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে অপহরণকারী ও অপহৃত স্বজনদের সঙ্গে মুক্তিপণের টাকার দর কষাকষিতে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত নামিয়ে আনলেও অপহৃতদের স্বজনেরা গরিব ও অসহায় হওয়ায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিবে বলে জানান। এতেও রাজি হয়নি অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তিপণ না দিলে বাড়িতে তাদের লাশ পৌঁছাবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।

রিদুওয়ানের পিতা মমতাজ জানান, আমরা আমাদের ছেলেদের উদ্ধারে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই। টাকা দিতে না পারলে ডাকাতেরা আমাদের ছেলেদের মেরে ফেলবে।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দীন মজুমদার যুগান্তরকে জানান, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে তাদের উদ্ধারে আমাদের পুলিশের একটি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

গত কিছুদিন আগে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ বলেন, টেকনাফের গহীন পাহাড়ের মোড়ে মোড়ে বড় বড় সন্ত্রাসীদের আস্তানা রয়েছে; যেখানে মানুষ অপহরণের পরে বন্দি রেখে নির্যাতন চালায়। তবে সেখানে পাশাপাশি দেশি-বিদেশি অনেক অস্ত্রও রয়েছে। আমি আশা করি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ওই পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করলে সন্ত্রাসীদের আটকের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হবে।