কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরে করোনার পর থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নেই বললেই চলে

কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরে করোনার পর থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নেই বললেই চলে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়ায় বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে নামমাত্র গুটি কয়েক পণ্য আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

বিবির বাজারের এই বন্দরটি দেশের ১৩তম স্থলবন্দর। ১৯৯৫ সালে কার্যক্রম শুরু হওয়া এ বন্দরটি এখন পর্যন্ত পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে মাইলফলক স্পর্শ করতে পারছে না।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, এই বন্দর দিয়ে সামান্য কিছু নির্মাণ সামগ্রী ভারতে রপ্তানি করা হলেও আমদানি একেবারে নেই বললেই চলে। শীতের মৌসুমে মশলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে শুধু জিরা আমদানি হচ্ছে এই বন্দর দিয়ে। যার রাজস্ব খুবই সামান্য। এছাড়া কয়েকটি চক্র উন্নতমানের অনেক পণ্য চোরাই পথে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে আমদানি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৯ টাকার পণ্য। রপ্তানি হয়েছে ৭ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৪ টাকার পণ্য। বাংলাদেশ থেকে এই বন্দর দিয়ে অনেক পণ্য রপ্তানি করা হলেও ভারত থেকে আমদানির জন্য মাত্র ২৪টি পণ্যের বিধান রয়েছে।

বিবি বাজার বন্দর দিয়ে সিমেন্ট, কয়লা, ঢেউটিন, সিমেন্ট শিট, গুঁড়া পাথর, পিভিসি কম্পাউন্ড, প্লাস্টিকের দরজা, ইট ভাঙার মেশিন, ধান মাড়াই কল ও কোমল পানীয়সহ কেবলসহ ১৫-২০টি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে